শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় তালিকা থেকে প্রকৃত এক জেলের নাম বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদে চাল না নিয়ে ফিরে গেলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আউরা গ্রামের বেশ কয়েকজন জেলে। ফেরত যাওয়া জেলে শহীদুল ইসলাম সরদার, পরিমল দাস, মজিবুর জমাদ্দার, নকির জমাদ্দার, রাসেল সরদার, ফিরোজ সরদার, কালাম সরদার, শামিম হোসেন, আল আমিন, আঃ খালেক, আঃ মালেক, রিপন জমাদ্দার, কালাম জমাদ্দার, তপন কুমার দাস, তিলক দাস, নাঈম হাওলাদার, স্বপন দাস, রিপন দাস, নাঈম জমাদ্দার ও দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিন আউরা গ্রামের প্রকৃত জেলে মিরন জমাদ্দারের নাম তালিকা থেকে ইচ্ছে করে বাদ দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হক নাহিদ সিকদার জানান, মিরন জমাদ্দারের নামে ৩০ কেজির ভিজিডি কার্ড ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গরু পেয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একই ব্যাক্তি একাধিক সরকারি সুযোগ সুবিদা পাবেনা।
গতকাল শনিবার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের ২৫০ জন তালিকাভুক্ত জেলেদের নামের চাল সদর ইউনিয়ন পরিষদে বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, জাটকা নিধন থেকে বিরত থাকা জেলেদের মধ্যে রমজান মাসে ভিজিএফের চাল বিতরণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ফেব্রæয়ারী ও মার্চ পর্যন্ত জনপ্রতি মাসে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ চলছে। কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নে ২৫০ জন জেলে পেলে এ চাল পাবেন।
জেলে শহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি চেয়াম্যানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা চাল নিন, না নিলে চলে যান।
এ ব্যাপারে মিরন জমাদ্দার জানান, আমি একজন প্রকৃত জেলে। নিয়মিত চাল পেয়ে আসছিলাম হঠাৎ আমার নাম চেয়ারম্যান বাদ দেয়। ভিজিডির (৩০ কেজি) একটি কার্ড আছে আমার স্ত্রীর নামে। তার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো না।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. রুহুল আমিনের মোবাইল ফোন (০১৭২০১৫৬৭০৩) একাধিক বার কল করলেও তা রিসিভ করেননি।
জেলা মৎস্য অফিসার রিপন কান্তি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজ নিয়ে দেখছি।